সারসংক্ষেপ
খাদ্য, বস্ত্র, আবাসন, চিকিৎসা ও শিক্ষা এ পাঁচটি মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে আবাসন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। আবাসস্থল বা বাড়ি হলো একটি বাসস্থান যেখানে মানুষ স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাস করে। বাংলো, মেস, হোটেল, মোটেল, ভাড়া বাড়ি, লজ, ডরমেটরি, হল, হোস্টেল, সরকারি কলোনী প্রভৃতি নামে মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। আলোচ্য গ্রন্থের মূল উপজীব্য বিষয় হলো আবাসন ঋণ তথা নিজ নামে গৃহ নির্মাণ করার জন্য ঋণ গ্রহণ।
বাড়ি একজন মানুষের সমগ্র জীবনের স্বপ্ন। একটি বাড়ি তৈরী করতে অনেক সময় ও অর্থের প্রয়োজন হয়। অনেকে জমানো অর্থ দিয়ে বাড়ির কাজ শুরু করেন কিন্তু টাকার অভাবে মাঝপথে কাজ থামিয়ে দিতে হয়। ফলে কাজটি সম্পন্ন করতে অর্থের প্রয়োজন পড়ে। যা পুরণ করতে পারে গৃহঋণ। গৃহ ঋণ সুদসহ মূলধন পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত মাসিক কিস্তি আকারে পরিশোধ করতে হয়।
বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ (জাগৃক) নি¤œ আয়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসন অবস্থার উন্নয়নের জন্য ২০ অক্টোবর, ২০১৬ সাল হতে নির্বাচিত পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনে “লো ইনকাম কমিউনিটি হাউজিং সাপোর্ট প্রজেক্ট” শীর্ষক প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে। পিকেএসএফ এই প্রকল্পের “শেল্টার লেন্ডিং এন্ড সাপোর্ট” শীর্ষক একটি কম্পোনেন্টের আওতায় নির্বাচিত ১৩টি শহরে সাতটি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তার মধ্যে ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) সংস্থাটি তার রংপুর সিটি কর্পোরেশনের আওতার তিনটি শাখা যথা রংপুর সদর, ক্যান্টনমেন্ট ও মাহিগঞ্জ-এর মাধ্যমে রংপুর শহরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্প হতে রংপুর শহরে ২০১৭ সালের ৯ জুলাই তারিখে সদর ও ক্যান্টনমেন্ট শাখা হতে একই দিনে দুইজন সদস্যকে ঋণ প্রদান করে গৃহ ঋণের নতুন অধ্যায়ের শুভ-সূচনা করা হয়। পিকেএসএফ সাতটি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ৩০ নভেম্বর, ২০২১ খ্রি. পর্যন্ত ৯৪৪৫ জন সদস্যকে নতুন গৃহ নির্মাণ, পুরাতন গৃহ সংস্কার ও সম্প্রসারণ বাবদ মোট প্রায় ১৭৯ কোটি টাকা ঋণ হিসাবে বিতরণ করেছে। এর মাঝে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে ইএসডিও-এর তিনটি শাখার মাধ্যমে ৫৩৭ জন সদস্যের মাঝে উল্লিখিত তিন ধরণের নির্মাণ কাজের জন্য ১৭.৮৫ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। (to be continued)